সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনায় জুয়াড়িদের পিটুনিতে মো. সাইফুল ইসলাম সবুজ (২২) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। নিহত সবুজের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের রায়ভোগ কদমতলা গ্রামে। তার বাবার নাম ফারুক পহলান। সবুজ ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যায়নরত। করোনার কারণে কয়েকদিন আগে বাড়ি এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ইউপি নির্বাচন নিয়ে ওই এলাকার বর্তমান ইউপি সদস্য রাজা সাবেক ইউপি সদস্য স্বপন খানের মধ্যে বিরোধ চলছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢলুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম রায়ভোগ গ্রামের অতুল হাওলাদারের বাড়ির পুকুর পাড়ে সাবেক ইউপি সদস্য স্বপন খালের লোকজন জুয়ার আসর বসায়। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সদস্য আবদুস সালাম বিষয়টি বরগুনা থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
বরগুনা থানার এসআই হেলালের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কুদ্দুস পহলানের ছেলে রাজা পহলান (৩২), অতুল হাওলাদারের ছেলে বাসুদেব (৩৭), আফজাল হোসেনের ছেলে হাবিল (২২) ও আলতাফ হোসেন মোল্লার ছেলে মামুন মোল্লাকে (২৪) ধরে বরগুনা ইউএনও অফিসে নিয়ে আসেন। বিকেল চারটার দিকে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে করোনায় ঘরে থাকার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আড্ডা দেবার অভিযোগে তাদেরকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা জরিমানা ও মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনার জেরে বিকেলে পাঁচটার দিকে স্বপন খানের প্রায় ২০/২৫ জন সমর্থক সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে রায়ভোগ বাজারে এসে বর্তমান ইউপি সদস্য রাজুর সমর্থকদের এলোপাতাড়ি মারধর করতে শুরু করে। এসময় রাজুর গ্রুপরে লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তুললেও টিকতে পারেনি। এক পর্যায়ে রাজুর গ্রুপের লোকজনও সংঘবদ্ধ হয়ে স্বপন খানের গ্রুপের লোকজনের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০/১২ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপতালে সন্ধ্যার পরে নিয়ে আসে। হাসপতালে নিয়ে আসার পথে সবুজ নামের একজনের মৃত্যু হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় আরও অন্নত ১০জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজনকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গুরুতর তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনা থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে।
Leave a Reply